নেফারতিতিকে বলা হয় এ যাবতকালের পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী নারী। মিশরের এই রাণীকে “Lady of Two Lands” বলে ডাকা হতো এবং নিজের সৌন্দর্যের জন্য তিনি ছিলেন সমালোচিত।
সম্প্রতি সেই রহস্যময়ী নেফারতিতির সমাধিস্থল খুঁজে পাওয়ার বলে দাবি জানিয়েছেন আমেরিকায় কর্মরত একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ। যেখানে তার থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি ছিল সেই তুতানখামেনের কবরের পাশেই তার কবর পাওয়া গিয়েছে।
বলা হয়, তুতানখামেনের সমাধি হচ্ছে অভিশপ্ত। মিশরের এই তরুণ শাসকের জীবনকাল এবং মৃত্যু নিয়ে আদ্দিকাল থেকেই নানা রহস্য তৈরি হয়েছে এবং এর মাধ্যমে নতুন আরেক রহস্য তৈরি হল।
বলা হচ্ছে, বহুকাল ধরে রাণী নেফারতিতির খুঁজে না পাওয়া সমাধি তুতানখামেনের সমাধির ঠিক পরের ঘরটাতেই পাওয়া গিয়েছে।
আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনায় কর্মরত ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক নিকোলাস রিভস জানান, তুতানখামেনের সমাধিকক্ষে যে ‘ভূতুড়ে দরজাগুলো রয়েছে সেগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক কবর রয়েছে।
রিভস বলেন তিনি তুতানখামেনের সমাধিকক্ষের দেয়ালে এমন কিছু নিদর্শন পেয়েছেন যা থেকে তিনি ধরে নিয়েছেন তিনি নেফারতিতির কবর খুঁজে পেয়েছেন। যদি তার আবিষ্কার সত্যি হয় তাহলে নেফারতিতি আসলেই তুতানখামেনের মা ছিলেন কিনা সেরকম অনেক বিতর্কের অবসান ঘটবে।
ধারণা করা হয়, রাণী নেফারতিতি ১৩২৩ থেকে ১৩৩২ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত মিশর শাসন করেন। এরপর কোন এক অজানা কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
“Amarna Royal Tombs Project” সম্পর্কে নিজের পেপারে রিভস দাবী করেন, তুতানখামেনের সমাধির উত্তরদিকে সম্পূর্ণ রক্ষিত অবস্থায় যে কবরটি রয়েছে সেটিই নেফারতিতির কবর।
ক্লিওপেট্রার পাশাপাশি নেফারতিতি প্রাচীন মিশরের একজন অন্যতম সমালোচিত এবং সম্মানিত নারী ছিলেন। ১৯১২ সালে জার্মানির প্রত্নতাত্ত্বিক লুডউইগ বোরশারড মিশরে রাণী নেফারতিতির ৩৩০০ বছরের পুরনো আবক্ষ মূর্তি আবিষ্কার করেন(ছবিতে)।