নিউইয়র্কের একটি মেডিকেল সেন্টার জানিয়েছে তারা এ বছরের আগস্টে এ যাবতকালের সবচাইতে জটিল এবং বৃহৎ ফেস ট্রান্সপ্লান্ট বা চেহারা প্রতিস্থাপনের অপারেশনটি করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ওপর এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
যদিও এটি পৃথিবীর প্রথম চেহারা প্রতিস্থাপনের ঘটনা নয় কিন্তু নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যন্ত জটিল অস্ত্রোপচার ছিল। অস্ত্রোপচারটি করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের এনওয়াইইউ লেঙ্গন মেডিকেল সেন্টারে।
ড. এডুয়ার্ডো রড্রিগেজ এবং তার ১৫০ জন দক্ষ সহকর্মী মিলে প্রায় ২৬ ঘণ্টা সময় ধরে সম্পূর্ণ নতুন একটি চেহারা উপহার দেন সাবেক এই দমকলকর্মীকে।
এই দমকলকর্মীর নাম প্যাট্রিক হার্ডিসন। ১৪ বছর আগে একটি জ্বলন্ত বাড়িতে তিনি প্রবেশ করেন একজন নারীকে উদ্ধার করতে। সে সময় বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে এবং এতে হার্ডিসনের মাথা, মুখ এবং ঘাড়ের প্রায় সবটুকুই পুড়ে যায়।
হাসপাতালে ডাক্তাররা তার পা থেকে চামড়া এনে সেটা মুখ এবং মাথায় স্থাপন করে। কিন্তু তারপরও তার কান, ঠোঁট এবং নাকের বেশিরভাগটাই হারান এই দমকলকর্মী।
হার্ডিসনকে ড. রড্রিগেজের সন্ধান দেন তারই এক বন্ধু যে কীনা ২০১২ সালে একইরকম অপারেশন করিয়েছে তার কাছ থেকে। একজন ডোনারের জন্য ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে হার্ডিসনকে। অবশেষে ২৬ বছর বয়সী ডেভিড পি রোডবাগ, যিনি একটি সাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন, তার চেহারা পান হার্ডিসন।
এরপর আগস্ট মাসে এই অপারেশনটি করা হয়। অপারেশনের পর তার চেহারা অনেকটাই স্বাভাবিক হলেও এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ নন হার্ডিসন। তাকে ধীরে ধীরে আরও অনেকগুলো অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তার চোখের অপারেশনের পর তিনি দৃষ্টিশক্তিও ফিরে পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।