আজ ২৯ অক্টোবর। বিশ্ব ইন্টারনেট দিবস। ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। কিন্তু কেন ঠিক এই দিনটিকেই বেছে নেয়া হল মানব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারকে উদযাপনের জন্য? তা জানার জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে কয়েক বছর আগে ১৯৬৯ সালের এই দিনে।
ঘটনাটি নীলআর্মস্ট্রংদের চাঁদে পা রাখার ঐতিহাসিক মুহূর্তের কয়েক মাস পরের। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া,লস অ্যাণ্জেলসের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র চার্লি ক্লাইন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার থেকে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বার্তাটি পাঠান স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের আরেক কম্পিউটারে তারবন্ধু প্রোগ্রামার বিল ডুভালের কাছে।
আর এরই সাথে সৃষ্টি হল পৃথিবীর সেই বিস্ময়ের যা আজও প্রতিনিয়ত আমাদের বিস্মিত করেই চলছে। আগমন ঘটলো ইন্টারনেটের প্রযুক্তির। ইংরেজি বর্ণ 'এল'(L) এবং 'ও'(O) ছিল প্রথম ডাটাবিট যা পাঠানো হয়েছিল ওই বার্তায়। আসলে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল ইংরেজি LOG IN শব্দটি। তবে গ্রাহক প্রান্তের সিস্টেমটি ক্র্যাশ করায় পুরো শব্দটি তখন পাঠানো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু এর এক ঘন্টা পরই প্রফেসর লিওনার্ড ক্লেইনরকের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ বার্তাটিই পাঠাতে সক্ষম হন চার্লি। আর এ ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পৌঁছাতে সময় লেগে গিয়েছিল আরো ২০ বছর। ১৯৬৯ সালের ওই দিনটিকে পূর্ণ মর্যাদা দিতেই ২৯ অক্টোবরকেই বেছে নেয়া হয়েছে 'ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট ডে' হিসেবে।
মজার বিষয় হল, এই বিশ্ব ইন্টারনেট দিবসটিকে অনেক দেশেই পালন করা হয় ছুটির দিন হিসেবে। বাংলাদেশে যদিও এখনও দিনটি খুব ধুমধাম করে পালন করা হয় না, তবে আশা করা যায় সময়ের সাথে সাথে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এখানেও দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারেই পালিত হবে। হয়তো এমন দিনও আসবে দিবসটি উপলক্ষে বাড়তি ছুটিও দেয়া হবে।
সবাইকে ইন্টারনেট দিবসের শুভেচ্ছা!