চুরি নয়, বিমানযাত্রীর বা কার্গোর হারিয়ে যাওয়া কিংবা দাবি না করা ব্যাগেজ এর কী হয় তা ভেবে দেখেছেন? একজন ব্যক্তির হারানো ব্যাগেজ বা লাগেজ হতে পারে আরেকজনের সম্পদ! কেমন শোনাচ্ছে তাই না? কিন্তু সেটিই হয়ে থাকে। হারানো এসব ব্যাগেজ বিক্রি করা হয় অদাবিকৃত ব্যাগেজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার স্কর্টসবোরোতে এমনই একটি দোকান রয়েছে, যেখানে পূর্বে হারিয়ে যাওয়া বা অদাবিকৃত আইটেমগুলো নতুন ঠিকানা পায়।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাগেজ পাওয়া না গেলে অধিকাংশ এয়ারলাইনস কোম্পানি গ্রাহকদের তার ক্ষতিপূরণ দেন। আবার অনেকেই ভুলে ব্যাগেজ রেখে চলে যান, পরে আর নিতে আসেন না। এরপর ঐ ব্যাগেজ পাওয়া গেলে সেটি উক্ত এয়ারলাইনস কোম্পানি বিক্রি করে দিতে পারেন। কার্গোর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।
১৯৭০ সালে ‘আনক্লেইমড ব্যাগেজ সেন্টার’ নামের উক্ত দোকানের যাত্রা শুরু হয়। যখন একজন ব্যবসায়ী তার পার্ট-টাইম ব্যবসা হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রথম অদাবিকৃত ব্যাগেজগুলো আনেন। ১৯৯৫ সালে দোকানটি পরিবর্ধন করা হয় এবং এখন এটির আকার ফুল সিটি ব্লক। বর্তমানে প্রতিদিন সাত হাজারের অধিক আইটেম এখানে যুক্ত হয়।
হারানো পণ্যের প্রায় ৬০ শতাংশই হলো পোশাক। এছাড়া রয়েছে ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক্স, জুয়েলারি, খেলাধুলার সরঞ্জাম, বই এবং লাগেজ। এছাড়া কিছু ইউনিক সংগ্রহও রয়েছে যেমন- ফুল শ্যুট বর্ম, জেমস্টোন, পুরো প্যারাস্যুট, এফ১৬ ফাইটার জেটের গাইডেন্স সিস্টেম, এমনকি জীবন্ত সাপ।
এখানকার জাদুঘরে কিছু মূল্যবান, ঐতিহাসিক ও দুষ্প্রাপ্য জিনিষও রয়েছে। প্রতিবছর দোকানটিতে দশ লাখেরও বেশি মানুষ ভিড় করেন।