বিকাশ ও হুয়াওয়ে পেল ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশের তারিখ:

ডিজিটাল ঋণসেবা চালুর স্বীকৃতিস্বরূপ বিকাশ ও হুয়াওয়ে জিএসএমএ গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২৫-এ প্রতিষ্ঠান দু’টিকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এই অ্যাওয়ার্ড ফিনটেক খাতের সেইসব উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়, যা জনসাধারণ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। বিকাশ ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ‘পে লেটার’ সেবা চালুর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বল্পমেয়াদি ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা প্রদান করেছে, যা তাদের দৈনন্দিন খরচের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হয়েছে।

২০১৮ সালে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে বিকাশ দেশের ৬১% প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে আর্থিক সেবার আওতায় এনেছে। তবে এখনো ৩৭% জনগণ উচ্চ সুদের ঋণদাতাদের উপর নির্ভরশীল, আর মাত্র ৯% মানুষ ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহার করে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে বিকাশ, হুয়াওয়ের সহায়তায় ‘পে লেটার’ সেবা চালু করে, যা সম্পূর্ণ কাগজবিহীন প্রক্রিয়ায় দ্রুত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান ও ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষত, এই সেবা গ্রামাঞ্চলের নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মূলধন সংগ্রহে সহায়তা করেছে, দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে এবং স্থানীয় ই-কমার্সের প্রসারে অবদান রেখেছে।

বিকাশের চিফ প্রোডাক্ট অ্যান্ড টেকনোলজি অফিসার মোহাম্মদ আজমল হুদা বলেন, “হুয়াওয়ের মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সহায়তায় আমরা ২০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পেমেন্ট সেবা সম্প্রসারিত করেছি এবং ‘পে লেটার’ মাইক্রো ফিন্যান্স সেবা চালু করেছি। এই উদ্যোগ লক্ষ-লক্ষ মানুষের আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে সহায়ক হয়েছে এবং বাংলাদেশে সর্বজনীন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।”

হুয়াওয়ের সফটওয়্যার বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট মরিস মা বলেন, “বিকাশের সঙ্গে যৌথভাবে গ্লোমো ‘বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব, যাতে আমাদের গ্রাহকরা আরও ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।”

গত এক দশকে হুয়াওয়ের মোবাইল মানি সল্যুশন ৪০টিরও বেশি দেশে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীকে আর্থিক সেবা প্রদান করেছে। প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড-নেটিভ ডিস্ট্রিবিউটেড আর্কিটেকচার ৯৯.৯৯% নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে এবং সীমাহীন সম্প্রসারণ সক্ষমতা প্রদান করে, যা নিরবচ্ছিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। এছাড়া, শক্তিশালী ডেটা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইঞ্জিনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও আয়ের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

বার্সেলোনায় ৩-৬ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত চলা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ে ফিরা গ্রান ভিয়া-র হল ১-এ তাদের সর্বাধুনিক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। চলতি বছর ৫জি-এডভান্সড প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়বে এবং এআই টেলিকম অপারেটরদের ব্যবসা, অবকাঠামো, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে হুয়াওয়ে বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর ও অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

রিপ্লাই লিখুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন

শেয়ার করুন:

জনপ্রিয়

এ সম্পর্কিত আরও কিছু পোস্ট
Related

দেশে স্যামসাং গ্যালাক্সি এ০৬ স্মার্টফোন উন্মোচন

স্যামসাং সম্প্রতি সুপারফাস্ট কানেক্টিভিটি ও শক্তিশালী পারফরমেন্সের নতুন স্মার্টফোন...

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স ফোনের

শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি অপো ব্র্যান্ডটির জনপ্রিয় ও স্টাইলিশ...

১৮ মার্চ বাংলাদেশে আসছে অনার এক্স৯সি স্মার্টফোন

অবশেষে দেশের বাজারে বৈশ্বিকভাবে সাড়া ফেলে দেয়া স্মার্টফোন ‘অনার...

জাইসের ক্যামেরা নিয়ে এলো ভিভো ভি৫০ ফাইভজি

আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হলো ভিভোর ভি সিরিজের সবচেয়ে উন্নত...