পৃথিবীর দীর্ঘতম এবং গভীরতম ট্রেন টানেল

প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করার পর চালু হল ইতিহাস সৃষ্টিকারী গটহার্ড টুইন ট্রেন টানেল। সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এই রেলপথ তৈরি করা হয়েছে আল্পস পর্বতের নিচ দিয়ে। ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেন টানেল পৃথিবীর দীর্ঘতম এবং গভীরতম।

টানা ১৭ বছর ধরে নির্মাণকাজ করার পর অবশেষে চলাচলের উপযোগী হল এই রেলপথ। এ রেলপথ তৈরির জন্য প্রায় ২৮ মিলিয়ন টন পাথর কাটতে হয়েছে সুইস আল্পসের নিচ দিয়ে। জুনের ১ তারিখ এই টানেল উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী ভ্রমণে অংশ নিয়েছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মারকেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ এবং ইটালির প্রধানমন্ত্রী ম্যাটেও রেনজি। তবে এটি পুরোপুরি উন্মুক্ত করার আগে কমপক্ষে ৩ হাজার টেস্ট ড্রাইভ চালানো হবে। খুব সম্ভবত এ বছরের শেষের দিকে এই রেলপথ পুরোপুরি চালু হবে।

প্রায় ২৬০০ মানুষ কাজ করেছে এই রেলপথ নির্মাণের পিছনে। শ্রমিক ছাড়াও এদের মধ্যে ছিল ইঞ্জিনিয়ার, ভূতত্ত্ববিদ আর কন্সট্রাক্টর। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের ১ বছর আগেই শেষ হয় নির্মাণ কাজ। সর্বমোট সাড়ে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এই টানেল নির্মাণে।

Gotthard Base Tunnel design
ছবি : সংগৃহীত

এই ট্রেন টানেল নির্মাণের সাথে সাথে এটি জাপানে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সেইকান ট্রেন টানেলকে টেক্কা দিল। এটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫৪ কিলোমিটার।

এই প্রোজেক্টকে সুইজারল্যান্ডের ‘কন্সট্রাকশন অফ দ্য সেঞ্চুরি’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। দ্রুতগামী এই রেলপথ আল্পস পর্বতের নিচ দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপকে সংযুক্ত করেছে। ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে এই টানেল দিয়ে। জুরিখ থেকে মিলানে পৌঁছানো যাবে মাত্র ১ ঘণ্টায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন