কাজের ফাঁকে সুযোগ করে অফিসের নিচে গিয়ে চায়ের সঙ্গে ধূমপান করা কিংবা মাঝে মাঝে তেলে ভাজা সিঙ্গারা, সমুচা মুড ঠিক করতে পারলেও স্বাস্থ্যকে কখনই ঠিক রাখতে পারবে না। তাই কর্মক্ষেত্রের জন্য এমন কিছু স্ন্যাকস বাছাই করা প্রয়োজন, যা স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ার পাশাপাশি কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে।
সারাদিন অফিসে নানা কাজে শারীরিক ও মানসিক চাপ থাকে। কিন্তু ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার না খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে না; বাসা বাঁধবে নানান রোগ। তাই শরীর ঠিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবরের পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এমন বেশ কিছু পুষ্টিকর খাবারের কথা বলা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
মিক্সড বাদাম: চীনা, কাজু, কাঠ, আখরোট, পেস্তার সমন্বয়ে তৈরি বাদাম বাক্স বর্তমানে পাওয়া যায় প্রায় সব জায়গায়। একটি মিক্সড বাদামের কৌটা অফিসের ডেস্কের পাশে কিংবা নিজের সঙ্গে রেখে দিলেই যখন-তখন খেয়ে নেয়া সম্ভব। মস্তিস্ককে সতেজ রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা, হজমে সহায়তা করা ইত্যাদি উপকার পাওয়া যাবে যদি কাজের ফাঁকে এক মুঠ মিক্সড বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করা যায়।
কলা এবং আপেল: সারা বছর পাওয়া যায় এই দুইটি ফলই তাৎক্ষণিক আমাদের ক্ষুধা মেটায়, পাশাপাশি এনার্জেটিকও করে তোলে।
কিসমিস এবং খেজুর: ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে সবচেয়ে সহজলভ্য উপকারী ড্রাই ফ্রুটস হলো কিসমিস এবং খেজুর। দুইটিতেই প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সঙ্গে ক্লান্তিভাব দূর করে।
সুগার ফ্রি বিস্কুট: সুগার ফ্রি বিস্কুট চায়ের সঙ্গে খাওয়ার জন্য অন্যান্য খাবারের তুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত।
ডাল ভাজা: ভাজা খাবার খাওয়ার ইচ্ছা মেটাতে বা চটকদার স্বাদ পেতে ডাল ভাজা খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি এটি শরীরের তাপমাত্রাও ঠিক রাখে। বাজারজাত ডালভাজা রূচিকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তবে ঘরেও খুব সহজে এটি তৈরি করা যায়, যা আরও স্বাস্থ্যকর।