বয়স বাড়তে শুরু করলে হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। এ কারণে কমে যেতে পারে উচ্চতাও! এই উচ্চতা কমে যাওয়া একটি শঙ্কার বিষয়। শরীরে চাকতির যে হাড় থাকে তা পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার কারণেই মেরুদণ্ডে সমস্য হয়। এতে কমতে শুরু করতে পারে শরীরের উচ্চতা।
অনেক সময় হারের ক্ষয়ের কারণেও উচ্চতা কমতে পারে যে কারোর। এ নিয়ে অবশ্য দুশ্চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই। কিছু পদক্ষেপ নিলে রক্ষা হতে পারে উচ্চতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা। খাদ্যাভাসে নতুন কিছু নিয়ে আসতে পারলে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না।
ক্যালসিয়াম
হাড়ের প্রায় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে ক্যালসিয়াম। এজন্য হাড় সংক্রান্ত কিছু সামনে আসলেই ক্যালসিয়ামের কথা সবার আসে। হাড়কে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে হলে পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন এবং নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। সবুজ রংয়ের শাকসবজিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পালং শাক, পুই শাক, সিম, বাঁধাকপি ও শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। সুযোগ অনুযায়ী এই খাবারগুলো তালিকায় রাখুন।
ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক
হাড়ের স্বাস্থ্য গঠন ঠিক রাখতে এই দুই উপাদান খুবই জরুরি। বিভিন্ন ধরনের বাদামে অনেক বেশি পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কুমড়োর বীজেও পাওয়া যায় এই দুটি উপাদান। এ ছাড়াও ডিম কিংবা ডাল থেকে পাওয়া যায় জিঙ্ক। হাড়কে ঠিক রাখতে এই খাবার খেতে হবে প্রয়োজন মতো।
ভিটামিন
হাড়ের যত্নে ভিটামিন ‘ডি’ ও ভিটামিন ‘কে’ অনেক বড় সহায়ক। ভিটামিন ডি পেতে হলে সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। ভিটামিন ‘কে’ থাকে সবুজ শাকসবজিতে। হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় ভিটামিনকেও আমলে নেয়া জরুরি।
অনেকে না বুঝেই হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান। তবে এ ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া ঠিক নয়, অতি প্রয়োজনীয় হলে তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেয়া জরুরি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া