কেউ কেউ নিজস্ব গাড়িতে স্কুলে শিশুকে নিয়ে আসা-যাওয়া করলেও রাজধানীর কিংবা জেলা শহরের অধিকাংশ অভিভাবকই তাদের শিশুর স্কুলে আসা যাওয়ার জন্য উক্ত স্কুলের বাস কিংবা রিক্সা ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তিত থাকেন। স্কুল বাসে শিশুর এই যাত্রাকে অধিকতর নিরাপদ করতে তাদের কয়েকটি বিষয়ে সচেতন করা জরুরী। নিচে তেমনই কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো।
১। বাস স্টপেজে আসা-যাওয়া
আপনার সন্তান যাতে বাস স্টপেজে আসা-যাওয়ার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পথটি ব্যবহার করে সেটি নিশ্চিত হবেন। যতোটা সম্ভব রাস্তার ফুটপাত ধরে চলতে বলবেন। যদি বিশেষ ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব না হয় তাহলে তারা যেনো রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলে যাতে তারা দেখতে পারে যে সামনে দিয়ে কোন গাড়ি আসছে। এছাড়া তারা যাতে পিছনের দিকটাও খেয়াল রাখে।
২। বাস স্টপেজে সচেতনতা
সন্তানকে বলবেন সে যেনো লাইন ধরে বাসে উঠে এবং তাড়াহুড়ো না করে। অন্যথায় বিপদ হতে পারে। এছাড়া সঠিক সময়ে অথবা একেবারেই বাস না আসলে কী করা উচিত সেটিও জানিয়ে দেবেন। তারা যেনো শিডিউল পিকআপ টাইমের পর রাস্তার ট্রাফিকের কথা মাথায় রেখে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে। যদি বাস না আসে তাহলে যাতে অভিভাবককে অবহিত করে কিংবা বাসায় ফিরে আসে।
৩। বাসে উঠা এবং নামা
বাস নির্দিষ্ট স্থানে পুরোপুরি দাঁড়ানোর পর ও দরজা খোলার পর কেউ নামার থাকলে তাকে নামতে দেয়া উচিত। আর কেউ নামার না থাকলে ধীরে সুস্থে বাসে উঠা উচিত। উঠা ও নামার সময় সময় দরজার পাশে হাতল ধরে সিড়ি ধরে উঠতে বা নামতে হবে। অনেক সময় বিশেষ করে শীতকালে সিড়ি ও হাতল পিচ্ছিল থাকতে পারে, সেটি দেখে-শুনে উঠতে-নামতে হবে।
৪। বাসের মধ্যের সচেতনতা
স্কুল বাসে নিরাপদ থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিটে বসা, সামনের দিকে মুখ করে থাকা এবং হাত-পা নিরাপদভাবে ভিতরে রাখা। কেনোভাবেই বাসের জানালার বাইরে শরীরের অংশ রাখা যাবে না। বিশেষ কারণে জরুরীভাবে নামার প্রয়োজন হলে সেটিও যাতে নিরাপদ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। বাস যাত্রার সময় যাতে শিশুরা সিটে থাকে তার জন্য পছন্দের বই পড়া, গান শোনার ব্যবস্থাও রাখা যেতে পারে।