২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে টাটা কনসালটেন্সি লিমিটেড (টিসিএস)। এর ফলে ডিএক্সসি টেকনোলজিকে পিছনে ফেলতে যাচ্ছে কোম্পানিটি।
যদি টিসিএস ডিএক্সসিকে পিছনে ফেলে তাহলে কোম্পানিটির সামনে থাকবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস কর্পোরেশন (আইবিএম) এবং অ্যাকসেন্সার পিএলসি। ২০১৭ সালে হিউলেট প্যাকার্ড এর সাথে কম্পিউটার সায়েন্সেস কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিএক্সসি টেকনোলজির যাত্রা শুরু হয়।
চতুর্থ প্রান্তিকে ৫.০৬ শতাংশ ধারাবাহিক উন্নতি করে ২০.৯১ বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ করতে পারলেই তার অবস্থান ধরে রাখতে পারবে। যদিও অধিকাংশ বিশ্লেষকরা মনে করেন এটি সম্ভব নাও হতে পারে।
গত ৩১ মার্চ টিসিএস তাদের আয়ের তথ্য প্রকাশ করে। ৯.৬ শতাংশ অথবা ১.৮২ বিলিয়ন ডলার উন্নতির মাধ্যমে টিসিএস গত বছরে ২০.৯১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। শুধুমাত্র প্রথম নয় মাসেই টিসিএসের আয়ের পরিমাণ ছিলো ১৫.৫২ বিলিয়ন ডলার, যা ডিএক্সসি এর আয়ের (১৫.৪৭ বিলিয়ন ডলার) থেকেও বেশি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার বছরে ডিএক্সসি এর রেভিনিউ ছিলো ২৫.৩৯ বিলিয়ন ডলার, সেই সময়ে টিসিএসের পরিমাণ ছিলো ১৭.৫৭ বিলিয়ন ডলার। গত দুই বছরে ডিএক্সসি এর আয় কমেছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে টিসিএসের আয় বেড়েছে ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া গত বছর শীর্ষ অবস্থানে থাকা আইবিএমের আয়ের পরিমাণ ছিলো ৭৯.৫৯ বিলিয়ন ডলার। সেই সময়ে অ্যাকসেন্সারের আয় ছিলো ৩৯.৫৭ বিলিয়ন ডলার।