বাংলাদেশে ই-কমার্স গ্রাহকদের অন্যতম অভিযোগ হলো সঠিক সময়ে পণ্য ডেলিভারি না পাওয়া এমনকি আদৌ না পাওয়া। সংগ্রহে পণ্য না থাকায় অনেক ই-কমার্স প্লাটফর্মকে গ্রাহক ফিরিয়ে দিতে হয়, যা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মূলত মার্চেন্টরা ই-কমার্স প্লাটফর্মকে পণ্যটি দিতে দেরি করায় কিংবা না দেওয়ার কারণে এই ভোগান্তিতে পড়তে হয় উক্ত প্লাটফর্ম ও গ্রাহককে। এক্ষেত্রে ই-কর্মাতে উন্নত দেশের আদলে সম্মিলিত ওয়্যারহাউজ সুবিধার মাধ্যমে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাত।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেসিস মিলনায়তনে দেশের জনপ্রিয় ৫টি ই-কমার্স প্লাটফর্মের সাথে লজিস্টিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ই-কুরিয়ারের ওয়্যারহাউজ সেবা চুক্তি অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিসের পরিচালক দিদারুল আলম সানি, আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাসরুর, হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সৈয়দ সৌরভ কবির, বাগডুমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিরাজুল হক, কিকশা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান কিংসুক হক, প্রিয়শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুল আলম খান এবং অথবা ডটকমের হেড অব বিজনেস আজিম আদিব।
পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়া সহজ ও গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সম্প্রতি ই-কুরিয়ার ওয়্যারহাউজ সুবিধা চালু করেছে। এর মাধ্যমে মার্চেন্টরা মাসিক ভাড়ার মাধ্যমে তাদের পণ্য ঐসব ওয়্যারাহাউজে রাখতে পারবে। যখন কোনও ক্রেতা একটি ই-কমার্স প্লাটফর্মে পণ্য অর্ডার করবেন তখন ই-কুরিয়ার সরাসরি তাদের ওয়্যারহাউজ থেকে পণ্যটি ঐ ক্রেতার কাছে পৌছে দেবে। এতে ডেলিভারি সময় কম লাগবে। একইসাথে পণ্যের মান যাচাই-বাছাই, প্যাকেজিং, স্টক, লেবেলিং সুবিধা থাকার কারণে গ্রাহক সঠিক ও ভালোমানের পণ্য পাবেন বলে জানান ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ রাহুল।
বিপ্লব বলেন, উন্নত ওয়্যারহাউজ/ফুলফিরমেন্ট সেন্টার যারা অনলাইন অর্ডার দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে সে বিষয়ে বিক্রেতারা এখনও সচেতন নন। তাই ই-কুরিয়ার লিমিটেড বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ই-কমার্স প্লাটফর্ম ও মার্চেন্টদের জন্য নিয়ে এসেছে ওয়্যারহাউজ ও ফুলফিলমেন্ট সেন্টার। এখানে উদ্যোক্তারা পণ্য স্টক, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং দেশব্যাপী হোম ডেলিভারি সুবিধা পাবেন।
এই ওয়্যারাহাউজে থাকছে পণ্য পরীক্ষা করার সুবিধা। পণ্যের আকার, আকৃতি ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে আলাদাভাবে সংরক্ষণ সুবিধা রয়েছে। এছাড়া থাকছে আকার, রঙ, ধরণ এর উপর ভিত্তি করে ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার দুই মাসের মধ্যে অন্তত ৩০টি মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠান এই ওয়্যারহাউজে যুক্ত হয়েছে।