দীর্ঘ ৯ মাস পর আবারও সিয়েরা লিওনের স্কুলগুলোর ক্লাস শুরু হচ্ছে। আফ্রিকান এ দেশটিতে ইবোলা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরলে তা প্রতিরোধ করার জন্যই দেশটির সরকার স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত বছর পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে এই প্রাণঘাতী ভয়াবহ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর মার্চ মাসে গিনিতে প্রথম ধরা পড়ে এই রোগ। এরপর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ গিনি, লাইবেরিয়া আর সিয়েরা লিওনে।
প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা যায় এই রোগে যাদের বেশিরভাগই ছিল এই তিন দেশের নাগরিক। দেশ তিনটিতে সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিভিন্ন দেশের সরকার এবং অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই রোগ প্রতিরোধে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসে।
ইবোলা রোগের ভাইরাস ইবোলা আক্রান্ত কোন প্রাণীর দেহ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে এই ভাইরাস রক্ত, ঘাম বা অন্য কোন শারীরিক তরলের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।
রোগটি উচ্চ সংক্রমণশীল হওয়ায় মানুষজন কোন ধরণের ভিড় বা জমায়েতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এই রোগের যখন আবিষ্কার হয় তখন এর কোন প্রতিষেধক ছিল না। এখন পর্যন্ত ইবোলার কোন প্রতিষেধক খুঁজে পাওয়া যায়নি, তবে বেশ কয়েকটি প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চলছে।
যদিও এই রোগের প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি থেমে যায়নি তারপরও অনেকটাই কমে এসেছে। দেশগুলোতে মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এবছরের জানুয়ারিতেই গিনির স্কুলগুলো খুলে যায় আর লাইবেরিয়ার স্কুল খুলেছে ফেব্রুয়ারিতে।