রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় বিভিন্ন রকম যানবাহন সবসময়ই আমাদের চোখে পড়ে। মোটরসাইকেল হোক কিংবা প্রাইভেটকার, সব গাড়ির ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার মিল আছে। সেটি হচ্ছে গাড়ির সামনে এবং পেছনের নাম্বার প্লেটটি।
Bangladesh Road Transport Authority (BRTA) এর অনুমোদনে সকল সরকারি বা বেসরকারি যানবাহনে নাম্বারপ্লেট ব্যবহারের এই নিয়ম চালু হয় ১৯৭৩ সালে।
চলো দেখে নেই নাম্বারপ্লেট সম্পর্কে কিছু মজার তথ্যঃ
বাংলাদেশের যানবাহনগুলোর নাম্বারপ্লেটের ফরম্যাট হচ্ছে “শহরের নাম-গাড়ির ক্যাটাগরি ক্রম এবং গাড়ির নাম্বার”
যেমন ধরি, “ঢাকা মেট্রো য- ১১২৫৯৯”।
এখানে, “ঢাকা মেট্রো” দ্বারা বোঝানো হয়েছে গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আওতাধীন। “য” হচ্ছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ির চিহ্নকারী বর্ণ। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন সব গাড়ি “য” বর্ণ দ্বারা চিহ্নিত করা হবে। পরবর্তী “১১” হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং “২৫৯৯” হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।
সাধারণত বাংলা বর্নমালার “অ,ই,উ,এ,ক,খ,গ,ঘ,ঙ,চ,ছ,জ,ঝ,ত,থ,ঢ,ড,ট,ঠ,দ,ধ,ন,প,ফ,ব,ভ,ম,য,র,ল,শ,স,হ” অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হয়।
উপরের প্রতিটি বর্ণ আলাদা আলাদা গাড়ির পরিচয় বহন করে।
যেমনঃ ৫০ সিসি পর্যন্ত মোটর সাইকেলের ক্ষেত্রে “এ” ব্যবহার করা হয়। ১০০০ সিসি পর্যন্ত “ক” এবং ১০০০ এর উপরের সিসির জন্যে “খ” বর্ণ ব্যবহার করা হয়।
এ তো গেলো বাংলাদেশের কথা। পৃথিবীর সব দেশেই নিজস্ব পদ্ধতিতে গাড়ির নাম্বারপ্লেট সিস্টেম চালু রেখেছে।
কিছু মানুষ আছে, যারা এই নাম্বারপ্লেটকে ব্যক্তিগতভাবে তৈরী করে নেয়। যেমন এক আরব ব্যবসায়ী তার গাড়ির নাম্বারপ্লেটে শুধুমাত্র “1”অক্ষরটি রাখেন। যার জন্যে তাকে গুনতে হয় ৭.২৫ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়াও ফর্মুলা ওয়ানের বড় বড় তারকারা নিজেদের গাড়ির জন্যে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এরকম বিশেষ অক্ষর সম্বলিত নাম্বারপ্লেটের ব্যবস্থা করে নেয়।
বিখ্যাত অ্যাপল কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস কখনো গাড়িতে লাইসেন্স প্লেট ব্যবহার করতেন না।
তিনি তাহলে কি করতেন??
প্রতিবার ধরা পড়ে জরিমানা দিতেন?? নাকি বিখ্যাত হয়েছেন বলে সুযোগ নিতেন?
কোনোটিই নয়। পশ্চিমা বেশিরভাগ দেশেই নতুন গাড়ির লাইসেন্স করার জন্যে ৬ মাস সময় দেয়া হয়। স্টিভ জবস বিখ্যাত মার্সিডিজ কোম্পানী থেকে গাড়ি লিজ নিতেন এবং ৬ মাস হবার আগেই তিনি গাড়িটি ফেরত দিয়ে নতুন গাড়ি নিয়ে নিতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এভাবেই গাড়ি ব্যবহার করে গেছেন।