বৈদ্যুতিক মানব

টমাস আলভা এডিসন ছোটবেলায় ভীষণ বকা খেতেন। পড়াশুনাতে তার মন বসতো না। তাই বাসায় এবং স্কুলের উভয় জায়গায় বকা শুনাটা যেন রোজকারের রুটিনে পরিণত হয়েছিল। তবে জন্ম থেকেই সমস্যা ছিল এডিসনের। কানে কম শুনত সে। তাই, লেখাপড়াটা কিন্তু হল না তার, কাগজ বিক্রি করে এডিসনের দিন চলতো। কিন্তু সে তার অদম্য মেধা বলে নিজেকে পরিণত করেছে শতাব্দীর অন্যতম মানুষে। কিভাবে? তা আমরা সবাই জানি বিদ্যুৎ আবিষ্কারের মাধ্যমে।

কিন্তু এডিসনের আবিষ্কারকে আর এক নতুন রূপ দিয়েছে মানুষ। কি এত অবাক কেন? “ ইলেকট্রিক ঈল ” মাছের কথাতো আমরা জানি কিন্তু এখন ঈল মাছের মতো কিছু অদ্ভুত মানুষ আছে যারা নিজ দেহে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে শুধু তাই না এই বিদ্যুৎকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারে।

এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। মানবদেহে এ এক অস্বাভাবিক ও রহস্যময় কাণ্ড। এমন একজন বৈদ্যুতিক মানবের নাম হচ্ছে জ্যাং ডেক ( Zhang Deke )জ্যাং ডেক তার নিজের শরীরকে একটি বিদ্যুৎ বহনকারী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ১৩ ওয়াট বিশিষ্ট ৬ টি বাল্প নিজের কানে ও মাথায় স্থাপন করে জ্বালাতে পারেন। শুধু জ্বালাতে নয় তা নিভাতে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণ ও করতে পারেন !

জ্যাং চীনে বসবাসকারী ৭১ বছরের একজন হাইওয়ে রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মী। সে প্রায়ই নিজেকে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে অনুশীলন করতেন। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই দুহাত দিয়ে বৈদ্যুতিক তার ধরার মাধ্যমে সে ২২০ ভোল্ট বিদ্যুৎ শরীরে সঞ্চারণ করতে সক্ষম। ৪৭ বছর বয়সে জ্যাং তার এই অলৌকিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে। একদিন বৈদ্যুতিক বাল্প পরিবর্তন করার সময় হঠাৎ বাল্পটি তার হাতের স্পর্শে জ্বলে ওঠে। বিদ্যুতায়ন তো দূরের কথা সামান্য কিছুও অনুভব করেননি তিনি। এর পর থেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে বারবার সে তার শরীরকে বিদ্যুতায়ন করেন, এবং বুঝতে পারেন তার অলৌকিক ক্ষমতা।

চাইনিজ একাডেমী অফ সায়েন্স ” একবার জ্যাং কে পরীক্ষা করে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে তার দৈহিক ভিন্নতা অনির্ধারিত। জ্যাং তার বৈদ্যুতিক থেরাপি দ্বারা তার বন্ধু ও আত্মীয়দের সাহায্য করেন যারা বাত, গ্রন্থিবাত রোগে আক্রান্ত।

আরেকটি অবাক করা তথ্য হচ্ছে, জ্যাং বিদ্যুৎ সঞ্চারণের মাধ্যমে তার হাতে রাখা একটি মাছ ২ মিনিটের মধ্যে রান্না করে ফেলতে পারেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন