কিশমিশের গুনাগুন

তোমরা কি কেউ কিশমিশ খেতে ভালোবাসো? ওই যে পোলাও বা সেমাই খেতে গেলে যে টকমিষ্টি স্বাদের শুকনো ছোট ছোট ফলগুলো দাঁতের নীচে পড়ে ওইগুলোই কিশমিশ। কিশমিশের ইংরেজি হচ্ছে Raisin. আসলে শুকনো আঙ্গুরই হচ্ছে কিশমিশ। আমাদের অনেকেরই ধারণা শুধু স্বাদ বাড়াতেই বোধহয় কিশমিশ খাবারে দেয়া হয়। আমরা ছোটরা অনেকেই খাবারে কিশমিশ দেখলেই তা খুঁজে খুঁজে বের করে ফেলে দেই। অনেকের আবার ধারণা কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আসলে কিন্তু কথাটি সত্যি নয়। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। চলো জেনে নেয়া যাক কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতাগুলো :

দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে কিশমিশ : আমরা অনেকেই ক্যান্ডি আর চকলেট খেয়ে দাঁত-মাড়ির একবারে বারোটা বাজিয়ে ফেলি। বেশি চকলেট খাবার জন্য আম্মুর বকাঝকাও শুনতে হয়। আমরা যদি চকলেটের পরিবর্তে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে কিন্তু আমাদের দাঁতের সুরক্ষা হবে। তোমরা হয়তো অনেকে ভাবতে পারো কিশমিশেও তো চকলেটের মতো চিনি রয়েছে। কিন্তু চিনি থাকার পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়।

হাড়ের যত্ন নেয় কিশমিশ : কিশমিশে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত রাখে। কিশমিশে আরো রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখে। তাই শুধু তোমরা নও, বাসার বড়দেরও তোমরা বলতে পারো কিশমিশ খাওয়ার জন্য।

ইনফেকশন হতে সুরক্ষা দেয় : কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরি উপাদান, যা কাটা-ছেঁড়া বা ক্ষত থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থেকে দূরে রাখবে।

দেহের শক্তি বাড়ায় : তোমার পরিচিত কেউ যদি শরীরে হঠাৎ দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে তাকে চটজলদি কিছু কিশমিশ খেয়ে নিতে বলো। কারণ কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ; তাই খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিশিমিশ শরীরে এনার্জি সরবরাহ  করে। তবে মনে রাখা ভালো কিশমিশ ডায়বেটিস রোগীর না খাওয়াই ভালো

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : কিশমিশে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই না কিশমিশ ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়াকে বাধা প্রদান করে। এখানেই শেষ নয় কিশমিশে আরো রয়েছে ক্যাটেচিন যা পলিফেনলিক অ্যাসিড, এটি আমাদেও দেহকে ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। তাই বড় ছোট সবারই কিশমিশ খাওয়া উচিত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন