উজ্জ্বল ত্বক পান গ্রীষ্মকালেও : পর্ব ১

0
1218

গ্রীষ্মকাল সম্পূর্ণরূপে চলে এসেছে। এখন বাহারি পোশাক পরে ঘুরে বেড়ানোর এবং মৌসুমী ফল উপভোগ করার উপযুক্ত সময়। কিন্তু গ্রীষ্মে সূর্যের তাপে ও গরম বাতাসে হতে পারে ত্বকের তীব্র ক্ষতি। ক্ষতিকর আবহাওয়া ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে যা ত্বককে নিস্তেজ এবং রুক্ষ করে তোলে।

এই ক্ষতিকর আবহাওয়া শুধু ত্বককে তামাটে করে দেয় না বরং ময়লা ও ধুলিকণা দ্বারা অত্যাধিক ঘামের কারণে লোমকূপের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করতে পারে। তাই এ সময়ে দরকার বিশেষ যত্ন।

পানি থেরাপি
পানি কেবল তৃষ্ণা নিবারণ করে না বরং শরীরের মধ্যে জমাট বাঁধা বিষাক্ত ও বর্জ্য অপসারণ করে। তাপের মাত্রা হ্রাস এবং শরীরকে শীতল রাখতে পানির পাশাপাশি ফলের রস, ডাবের পানি, গ্রিন টি বা বাটারমিল্ক পান করা যেতে পারে। গ্রিন টি’তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উচ্চতর হয় যা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে নির্মূল করতে সহায়তা করে এবং এতে থাকে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামাটরি, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বিশিষ্ট উপাদান যা ত্বককে বিভিন্ন চর্মরোগ হতে রক্ষা করে। তরল বা পানীয় শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান সরিয়ে দেয় এবং ত্বককে নরম, পাতলা ও পরিস্কার রাখে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
খাবারের পরিমাণ এবং মান মুখের উপর প্রতিফলিত হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবনযুক্ত খাবার শরীরকে ডিহাইড্রেট করে তোলে। সবুজ শাকসবজি ও পানিযুক্ত ফলমূল যেমন তরমুজ, শসা, কমলা, লেবু এবং লেটুস জাতীয় খাবারগুলো পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং ত্বক ও শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। মাংস, তৈলাক্ত এবং ভাজা খাবার গ্রীষ্মে হজম করা কঠিন এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে, যার ফলে ত্বকে দাগ এবং ব্রণ দেখা যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন