ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা ঘােষণা

জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক পরিষদ 'ইউনেস্কো' গত বুধবার তাদের ‘ইনটেঞ্জিবল কালচারাল হ্যারিটেজ অফ হিউম্যানিটি (intangible cultural heritage of humanity)’ তালিকায় আরও ২০টি ঐতিহ্যবাহী প্রথাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহোকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

ইনটেঞ্জিবল হ্যারিটেজের তালিকায় সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি, শিল্প, প্রথা এবং খেলাধূলার রীতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।  

এ বছরের নতুন সংযোজনগুলোর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হচ্ছে কোরিয়ান কিমচি নামক এক প্রকার খাবার তৈরি করার শিল্প, এশিয়ার কিছু অঞ্চলের দড়ি টানাটানির সংস্কৃতি এবং ভিয়েনার ঘোড়ায় চড়ার রীতি।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দড়ি টানাটানি একটি প্রার্থনার মত। পশ্চিমের মত এখানে দড়ি টানাটানি করাটা যুদ্ধ বা খেলা নয়। নতুন কৃষিবর্ষের শুরুতে ভালো ফসলের আশায় এই প্রার্থনা করা হয়।

উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় কিমচি একটি জনপ্রিয় খাবার। এটি সবজির সংমিশ্রণে তৈরি যেটাকে ঝাল, আচার বা মসলা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদ দেয়া হয়। দেশটির সকল নারীরা বংশ পরম্পরায় এই কিমচি তৈরি করা শিখে আসছেন।

প্রতিবেশি, আত্মীয় বা অন্যান্যদেরও এই খাবার রান্না করা শেখানো হয়। কিমচি রান্না শেখানোর পদ্ধতিকে বলা হয় ‘কিমজাং’।

অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার স্প্যানিশ রাইডিং স্কুলের ঘোড়ায় চড়ার ঐতিহাসিক রীতিকেও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখানকার লিপিযনার সারা বিশ্বে খ্যাতিসমৃদ্ধ ঘোড়ার প্রজাতি। এখানে অত্যন্ত যত্ন করে ঘোড়া লালন পালন করা হয় বলে ঘোড়াগুলোও নজরকাড়া হয়। মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে সুসম্পর্কের উদাহরণ এই স্কুলের রীতি।

এবারে মোট ৩৫টি বিষয় এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর মধ্যে নির্বাচিত হয় ২০টি। গত বছর এই তালিকায় ২৭টি বিষয় যোগ হয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন