শেষ হলাে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব

গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসর।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ, উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মোনোয়ারসহ আরো অনেকে।

এ বছর উৎসবে তিনটি বিভাগ হতে মোট দশটি পুরস্কার দেয়া হয়। শিশু নির্মাতা বিভাগে নির্বাচিত ৩০টি চলচ্চিত্রের সাথে লড়াই করে প্রথম স্থান লাভ করে ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের ছাত্র আবরার ফাইয়াজের 'স্বতঃস্ফূর্ত' চলচ্চিত্রটি।

দ্বিতীয় স্থানে ফারহা জাবিনের 'লং ওয়ে টু গো' আর তৃতীয় স্থানটি লাভ করে রংপুরের আশফাক শাকিবের 'অভিপ্রায়'। বিজয়ীরা একটি করে ক্রেস্টের সাথে যথাক্রমে পেয়েছেন ২৫ হাজার, ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকার চেক।

এছাড়া বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পায় 'পদক্ষেপ' এবং 'দ্যা ফ্ল্যাগ' চলচ্চিত্র দু'টি। চলচিচ্চত্রগুলোর পরিচালক যথাক্রমে রংপুরের আসিফ শাহরিয়ার এবং জয়পুরহাটের ইসরাত জাহান ও রাজু আহমেদ।

সামাজিক চলচ্চিত্র বিভাগে একটি ক্রেস্ট আর সনদসহ সেরার আসন লাভ করে ঢাকার হলিক্রস কলেজে পড়ুয়া অদিতি সবুর নির্মিত 'আহুতি-দ্যা স্যাক্রিফাইস'।

আর এ বছরই নতুন যুক্ত হওয়া তরুণ চলচ্চিত্র বিভাগে 'দ্যা পোস্টার' এর জন্য পুরস্কার পেয়েছেন আসিফ খান। আন্তর্জাতিক বিভাগেও সম্মাননা দেয়া হয় তিনটি চলচ্চিত্রকে।

ভারতের রাহিন রাভিন্দান তার 'লিটেল হ্যান্ডস' সিনেমার জন্য জিতে নেন সেরা নির্মাতার পুরস্কারটি। আর সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ইরানের 'অল দ্যা উইন্টার আই হ্যাভেন্ট সিন' সিনেমাটি। তাছাড়া পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের খেতাব পায় জার্মান পরিচালক থমাস হেইনেম্যানের 'লোলা অ্যান্ড দ্যা পি' চলচ্চিত্রটি।

অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার পর সেরা চলচ্চিত্রগুলোর প্রদর্শনীও করা হয়। পাশাপাশি নবম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের লোগো উন্মোচনের পাশাপাশি পরবর্তী আসরের কার্যক্রম অতিশীঘ্রই শুরু হবার ঘোষণা দেয়া হয়।   
 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন