স্প্যানিশ এবং ব্রিটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমাদের সৌরজগতে আরও দুইটি নতুন গ্রহ আবিষ্কারের অপেক্ষায় আছে। সবচাইতে দূরে অবস্থিত প্লুটোর পরে অবস্থান করছে এই দুইটি গ্রহ।
নেপচুনসহ আমাদের সৌরজগতে এখন পর্যন্ত গ্রহ ছিল মোট ৮টি। নেপচুনের পর ২০০৬ সালে ‘বামন গ্রহ’ নামে স্বীকৃতি পায় প্লুটো।
ব্রিটেনের মাসিক সাময়িকী Royal Astronomical Society -তে প্রকাশিত একটি লেখায় বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, প্লুটোর পরে অন্তত আরো দুইটি গ্রহ রয়েছে।
সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত মহাকাশে ভাসমান পাথরখন্ডকে বলা হয় extreme trans-Neptunian objects বা ETNOs। এসব পাথরের কক্ষপথের অস্বাভাবিক আচরনের উপর ভিত্তি করেই এ তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত সূর্য থেকে ১৫০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটে এসব পাথর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার কথা (১ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট হচ্ছে পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব বা ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারের সমান)। একটি সৌরজগতে এসব ইটিএনও কমবেশি একই কক্ষপথে অবস্থান করে। কিন্তু প্রায় ১ ডজন ইটিএনও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় তারা তাদের এসব বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করছে না। বরং তারা ১৫০ থেকে ৫২৫ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিটে ছড়িয়ে আছে এবং ২০ ডিগ্রি বাঁকাভাবে কক্ষপথে ঘূর্ণন করছে।
এই অস্বাভাবিকতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, খুব সম্ভবত বিশালাকার কোন জিনিস অর্থাৎ গ্রহ ইটিএনও’এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। এর মাধ্যাকর্ষণের ফলেই ছোট আকারের ইটিএনও তাদের ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করছে।
ইউনিভার্সিটি অফ মাদ্রিদের কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেন-‘অপ্রত্যাশিত কক্ষপথে এদের ঘূর্ণনের কারণে আমরা এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি যে বিকল্প কোন শক্তি এর পেছনে কাজ করছে। তবে ঠিক কতোটি গ্রহ আছে সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কোন তথ্য আমরা এখনো পাইনি।
ধারণা করছি কমপক্ষে দুটি বা তারও বেশি গ্রহ থাকতে পারে। তবে এটা নিশ্চিত এই আবিষ্কার আমাদের জ্যোতির্বিজ্ঞানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনবে’। তবে নতুন গ্রহ দুটির ব্যাপারে এখনো একেবারে সুনিশ্চিত কোন তথ্য এখনো পায়নি বিজ্ঞানীরা।