হট স্পট

শুরু হয়ে গেছে ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, আর এই জমকালো খেলার আসর নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। যার যার প্রিয় দল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। এর পাশাপাশি আমরা দিয়ে যাচ্ছি ক্রিকেট সম্পর্কীয় কিছু মজার সাধারণ তথ্য।

ক্রিকেটের আধুনিকায়নে হটস্পট একটি নতুন সংযোজন। মূলত এটি “ইনফ্রা-রেড” রশ্মির দ্বারা ছবি তোলার মাধ্যমে কাজ করে। এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় যে, বলটি ব্যাটসম্যানের শরীরের কোথায় স্পর্শ করেছে কিনা অথবা ব্যাট বা প্যাডের কোথাও আঘাত করেছে কি না।

আবিষ্কারঃ

স্নিকো-মিটার” প্রযুক্তির আবিষ্কারক “BBG Sports”কোম্পানী এই হটস্পট প্রযুক্তির উদ্ভাবনেও ভূমিকা রাখে। সর্বপ্রথম ২০০৬-০৭ এর Ashes সিরিজে (২৩ নভেম্বর, ২০০৬) ব্রিসবেনের Gabba টেস্টে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়।  

যেভাবে কাজ করেঃ

প্রথমে পিচের দুই প্রান্তে দুটি ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এ ক্যামেরা দিয়ে একটানা চিত্র ধারণ করা হয়। যখন বল করা হয় তখন বলটি ব্যাটসম্যানের শরীরের কোথাও লাগলে কিংবা ব্যাট/প্যাডে লাগলে ঘর্ষণের কারণে একপ্রকার তাপ উৎপন্ন হয়। ইনফ্রা-রেড রশ্মির মাধ্যমে সেই তাপ লাগা অঞ্চলটি স্পস্ট হয়ে ফুটে উঠে।

মূলত এই প্রযুক্তির ব্যবহার থার্ড আম্পায়ার করে থাকেন।

মাঠের দুই আম্পায়ার যখন কোনও আউটের জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে নির্দেশ পাঠান তখন তিনি হট স্পট দিয়ে এডজ (Edge)কিংবা স্পর্শ পরীক্ষা করে দেখেন। ইনফ্রা-রেড (Infrared) ইমেজিং         

এর কারণে ব্যাটসম্যানের চারপাশ এবং ব্যাটসম্যানকে কালো দেখায়। অনেকটা ক্যামেরার নেগেটিভ এর মতো। সেক্ষেত্রে স্পর্শ এর জায়গাটা তুলনামূলকভাবে সাদা দেখায়। বল ব্যাট বা প্যাড এর সাথে সংঘর্ষ করলে সেই জায়গাটা সাদা করে দেওয়াই হটস্পট এর কাজ। 

সীমাবদ্ধতাঃ

এই প্রযুক্তির ব্যবহার তেমন ব্যাপকতা লাভ করেনি। এর প্রধান কারন, হটস্পটে একদিনের খরচ পড়ে প্রায় ৬০০০ ডলার, যা খুবই ব্যয়বহুল। আর ২০১১ সালে ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড সিরিজে কিছু বিতর্কের জন্ম দেয় এই প্রযুক্তির ব্যবহারে।

২০১৫ বিশ্বকাপেও হটস্পট প্রযুক্তির ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

         

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন