গত সপ্তাহে চিলির কালবুকো আগ্নেয়গিরি আকস্মিকভাবেই জেগে উঠেছে। দেশটির ভূগোল ও খনি অধিদপ্তর জানায়, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রায় ২১০ মিলিয়ন টন ছাই আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ধোঁয়া আর ছাইয়ে ঢেকে গেছে সেসব এলাকা। সাড়ে ৬ হাজার মানুষকে এসব স্থান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়া যাওয়া হয়েছে।
তবে রোববার থেকে অনেকটাই শান্ত কালবুকো, যদিও এখনও কিছু কিছু জায়গায় ধূসর ছাই উড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। যেকোনো সময় আবার দানবীয় রূপ ধারণ করতে পারে কালবুকো। তারা জানান, আগ্নেয়গিরির ভেতরে লাভার গতিবিধি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, শীঘ্রই আবার অগ্নুৎপাত ঘটতে পারে।
ইন্দিনেশিয়ার পর পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম আগ্নেয়গিরির সারি অবস্থান করছে চিলিতে যেখানে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা প্রায় ৫০০।
২০১১ সালে পুয়েহুয়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এমনই ছাইয়ের ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছিল যে প্রায় এক মাস পার্শ্ববর্তী দেশ আর্জেন্টিনার বিমান যোগাযোগ বন্ধ ছিল।
কালবুকো, চিলির ভয়াবহতম আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে অন্যতম, গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার উদগিরিত হয়, যার ফলশ্রুতিতে ১৭ কিলোমিটার উঁচু মেঘের সৃষ্টি হয়েছিল। ছাই ভাসতে ভাসতে ব্রাজিল পর্যন্ত চলে যায়। শনিবারে আর্জেন্টিনা, চিলি এবং উরুগুয়ের অনেক ফ্লাইট সতর্কতামূলকভাবে বাতিল করা হয়েছে। তবে রোববার থেকে আবার স্বাভাবিক হয়েছে বিমান চলাচল।
তবে যেসব জায়গায় এখনও চায় ভাসছে, কালবুকোর ২০ কিলোমিটার চারপাশের এমন জায়গাটুকু বেষ্টনী দিয়ে রাখা হয়েছে। এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এসব এলাকা। বৃষ্টি হলে পানি আর পাথরের সংমিশ্রণের পতনে ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে।