একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না। তাই যেকোনো যাত্রীবাহী কিংবা মালবাহী যানবাহন চালানোর সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত নিরাপদ ড্রাইভিং-এ। একা থাকুন কিংবা সাথে যাত্রী থাকুক, এ বিষয়টি মেনে না চলার সুযোগ নেই। আসুন জেনে নিই নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের কয়েকটি বিষয়।
নজর রাখুন
• গাড়ি চালানোর সময় অন্য কাজ করবেন না। গাড়ি চালনায় ১০০% মনোযোগ রাখুন।
• গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করবেন না।
• ধীরে চালান। দ্রুতগতি আপনার সময় সাশ্রয় করতে পারে কিন্তু দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
• রাস্তার ট্রাফিক অ্যালার্ট দেখে-শুনে ও মেনে চলুন।
• লেন পরিবর্তন, বাঁক নেয়া, সিগন্যালের ক্ষেত্রে গাড়ি অবশ্যই ধীরে চালাবেন।
প্রতিরক্ষামূলক গাড়ি চালনা
• আপনার আশেপাশের চালক কী করছে সে বিষয়ে সজাগ থাকুন এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনার আগেই প্রস্তুত থাকুন।
• অন্যরা অনিরাপদ কিছু করতেই পারে, সেটি অনুকরণ নয় বরং এড়িয়ে চলুন।
• আপনার সামনের গাড়ির থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন।
• প্রতিকূল আবহাওয়ায় গাড়ি চালনা থেকে বিরত থাকুন।
• সবসময় সিট বেল্ট বেধে রাখুন।
• বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেটসহ সেফটি গিয়ার পরিধান করুন।
• ঘুম ঘুম চোখে, ক্লান্ত অবস্থায় কিংবা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না।
পরিকল্পনা করুন
• যাত্রা শুরুর আগেই আপনার ভ্রমণে কোথায় ও কখন খাবেন, বিশ্রাম নিবে বা মোবাইলে কথা বলবেন সেটি পরিকল্পনা করে রাখুন। হুট করেই কোনো সিদ্ধান্ত নিবেন না।
• গাড়ি চালনার আগেই আপনার সিট, লুকিং গ্লাস এবং ক্লাইমেট কনট্রোল ঠিকঠাকভাবে সেট করে নিন।
• গাড়িতে বসে পানীয় পান কিংবা খাবার খাবেন না। মাত্র কয়েক মিনিটের বিষয়, তাই বিরতি নিয়েই এগুলো সম্পন্ন করুন।
নিরাপত্তা অনুশীলন
• আপনার পাশের কার্গো বা অন্য গাড়ি এদিক ওদিক করলে কী পরিমান জায়গা নিতে পারে সেই দুরত্ব মেনে চলে গাড়ি চালান।
• গাড়ির মধ্যে কোনো জিনিষ পড়ে গেলে গতিতে থাকা অবস্থায় সেটি তুলতে যাবেন না।
• গাড়ি চালনার সময় প্রয়োজনীয় জিনিষ যেমন টোল ফি, টোল কার্ড, লাইসেন্স ইত্যাদি সহজেই পাওয়া যায় এমন জায়গায় রাখুন।