কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন, মানেই দেশের বাইরে বাংলাদেশের নিজস্ব খেলার মাঠ! শুনতে অবাকই লাগছে তাই না? কিন্তু বাংলাদেশি ক্রিকেট খেলোয়াড়দের কাছে সেটিই মনে হয়। কারণ ২০০৫ সাল থেকে এই সোফিয়া গার্ডেনের সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ।
এরপর ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ঐ মাঠে নেমে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। শুধু জয় নয়, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২২৪ রানের অসাধারণ একটি জুটির রেকর্ড হয় এই মাঠে।
এবারও সোফিয়া গার্ডেনে খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাঠেই আগের বিজয়ের ধারাবাহিকতা থাকতে কিনা সেটি এখন দেখার বিষয়।
ওয়েলসের কার্ডিফের টাফ নদীর পশ্চিম তীরে ও কার্ডিফ আর্মস পার্কের ১.৬ কিলোমিটার উত্তরে প্রতিষ্ঠিত অসাধারণ স্টেডিয়াম সোফিয়া গার্ডেন। বর্তমানে এটি সলেক স্টেডিয়াম নামে পরিচিত হচ্ছে।
লেডি সোফিয়া রডন-হ্যাস্টিংসের নামানুসারে সোফিয়া গার্ডেনসের নামকরণ করা হয়েছিলো। ঊনবিংশ শতকের শেষার্ধ্বে লেডি সোফিয়া ক্রমবর্ধমান নগরের বিনোদনের লক্ষ্যে উন্মুক্ত স্থান বরাদ্দের চিন্তা-ভাবনা করেন ও তাঁর স্বামী এর উন্নয়নে যথেষ্ট সহায়তা করেন। বর্তমানে এলাকাটি কার্ডিফ সিটি কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৮৫৪ সালে স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু এখানে ক্রিকেট শুরু হয় ১৯৬৭ সাল থেকে। এর আগে কার্ডিফ অ্যাথলেটিক ক্লাবের কাছে এই মাঠের লিজ ছিলো ১২৫ বছর। ১৯৯৫ সালে অ্যাথলেটিক ক্লাবের কাছ থেকে কেনার পর ক্রিকেটের জন্যও এই মাঠে আলাদা সেকশন চালু করা হয়। ক্রিকেটের পাশাপাশি এই মাঠে ফুটবল খেলাও অনুষ্ঠিত হতো।
তবে ২০০৭ সালে গ্লেমারগনের ক্রিকেটার মাইক পাওয়েল পাঁজরের ইনজুরিতে পড়ার পর আবেদন করেন, মাঠটাকে শুধু ক্রিকেটের জন্য ব্যবহার করার জন্য। তার সেই আবেদনই গ্রহণ করে নেয়া হয়।
বিশ্বকাপে ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় কার্ডিফের। ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠেই।
তথ্যসূত্র : অনলাইন