দীর্ঘ এক গবেষণায় জানা গেছে আমাদের রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ভিন্নতা ঘটে।
বিভিন্ন ধরণের রক্তের গ্রুপ মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালীর উপর প্রভাব ফেলে। যেমন: মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ যাদের AB গ্রুপের রক্ত রয়েছে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের হেমাটোলোজিস্ট ম্যারি কুশম্যান এবং তার সহকর্মীরা একটি গবেষণার মাধ্যমে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
২০০৭ সাল থেকে এ গবেষণায় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৩০ হাজার ২৩৯ জন আফ্রিকান-আমেরিকান এবং ককেশিয়ান ব্যক্তির ওপর গবেষণা করা হয়।
তবে কুশম্যানের দল এর আগে দু’বার টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ চালিয়েছেন। তারা এ জরিপ চালিয়েছেন মানুষের মস্তিষ্কের কয়েকটি দক্ষতার ওপর। যেমন শেখার সক্ষমতা, শর্ট-টার্ম মেমোরি আর এক্সিকিউটিভ ফাংশন।
দুই বা তিনবার ফোন করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে এদের ৪৯৫ জনের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে ৫৮৭ জনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের মস্তিষ্ক খুব শক্তিশালী।
যাদের রক্তের গ্রুপ ‘O’ নয় তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যেগুলো মানুষের ভাসকুলার বা সংবহনতন্ত্রের সাথে জড়িত। এ রোগগুলো মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
‘O’ গ্রুপের ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম, ডায়েট এবং সচেতনতা এসব সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখতে পারে।
রক্তের গ্রুপের কারণে বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অন্যান্য আরো অনেক কিছুই এতে জড়িত বলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, এই রক্তের গ্রুপই একমাত্র মানসকি সমস্যার জন্য দায়ী।
বিজ্ঞানীরা এখনো আশাবাদী যে একদিন তারা রক্তের মলিক্যুল এবং মস্তিষ্কের সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক বের করতে পারবেন এবং সেসব সমস্যার সমাধানও বের করতে পারবেন।
‘O’ গ্রুপের রক্ত যাদের তাদের তুলনামূলক বিষণ্ণতা বেশি থাকে এবং প্রচুর দুশ্চিন্তা হয়। এই গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।
‘A’ গ্রুপের রক্তের অধিকারীরা বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। এই রক্তের গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।
‘B’ ব্লাড গ্রুপের বাচ্চাদের অমনোযোগী হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে।
সূত্র : salon.com অবলম্বনে