ল্যাপটপ পরিস্কার বলতে আমরা সাধারণত এর হার্ডড্রাইভের ফাইল ব্যবস্থাপনা, জাঙ্ক বা অপ্রয়োজনীয় কনটেন্ট মুছে ফেলাকেই বুঝি। কিন্তু আমরা খুব কমই এর বাইরের চেহারাকে সুন্দর বা পরিস্কার করার দিকে নজর দিই। আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা ল্যাপটপে কাজ করি, তাই সময়ের ব্যবধানে এটি অপরিস্কার হওয়ার পরিমান বাড়তেই থাকে।
আমাদের চোখের আড়ালেই চা-কফি বা পানির ফোটা, ময়লা, খাবার, চুলসহ অপ্রত্যাশিত অনেক জিনিষই ল্যাপটপকে নোংরা করে। সেদিকে সাধারণত খেয়াল রাখি না। কিন্তু কোনও মিটিংয়ে ল্যাপটপ নিয়ে যেতে গেলে তখন বিব্রত লাগে। বাধ্য হয়েই প্রায় সকলেই হয়তো ঐ নোংরা ল্যাপটপ কিংবা টিস্যু বা কাপড় দিয়ে হালকা মুছে ল্যাপটপ নিয়ে যান। কিন্তু আদৌ কী এতে ল্যাপটপ পরিস্কার হয়? হয় না।
চলুন ধাপে ধাপে দেখে নিই কীভাবে ল্যাপটপকে প্রফেশনালি পরিস্কার এবং নতুনের মতো করা যায়।
১. ল্যাপটপের পাওয়ার অফ করুন এবং ব্যাটারি খুলে ফেলুন।
২. ল্যাপটপের স্ক্রিণটি খুলুন এবং উল্টা করে ধরুন যাতে আটকে থাকা বস্তু বেরিয়ে আসে।
৩. ল্যাপটপ উল্টা অবস্থাতেই কিবোর্ডে কম্প্রেসড এয়ার প্রবাহিত করুন, এতে বাটনের আশেপাশে-নিচে আটকে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসবে।
৪. যদি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার সাথে তাহলে এর সাথে ছোট ব্রাশ জুড়ে দিন। ল্যাপটপকে সোজাভাবে রাখুন ও পরিস্কার করুন।
৫. মাইক্রোফাইবার কাপড়ে ক্লিনিং সল্যুউশন ঢেলে নিন এবং ডিভাইসের প্রতিটি ইঞ্চি পরিস্কার করুন। তবে কাপড়টি বেশি ভেজাবেন না। অন্যথায় ভিতরের সার্কিটে লেগে ক্ষতি হতে পারে।
৬. গ্লাস ক্লিনার দিয়ে ডিসপ্লে পরিস্কার করুন। এরপর শুকিয়ে ফেলুন।
বাজারে ল্যাপটপ ক্লিনিং সুল্যউশন পাওয়া যায়। এগুলো কিনতে পারেন। খুব বেশি খরচ না করতে চাইলে ডিসট্রিলড ওয়াটার ব্যবহার করতে পারেন।