জেফ বেজোস; ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। অনলাইন কেনাকাটার শীর্ষ ওয়েবসাইট অ্যামাজনের এই প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সম্পদের মূল্য প্রায় ১১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাপী অ্যামাজনের ৫ লাখ ৬০ হাজারের অধিক কর্মী রয়েছে। এছাড়া অ্যামাজন প্রাইমের সদস্য সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
সম্পদের মতোই তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার এই ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানের সফলতার পেছনে তিনটি কৌশলের কথা জানিয়েছেন। চলুন জেনে নিই সেই তিন কৌশল সম্পর্কে।
১. মান হলো সংক্রামক
বেজোস বিশ্বাস করেন উচ্চমান হলো শিক্ষণীয়। যখন কাউকে উচ্চমানের টিমে আনা হবে তখন তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারবে। তবে এর বিপরীতও সত্য!
যদি একটি কোম্পানি বা টিম নিম্নমানের হয়, তাহলে নতুন কর্মীও অনিচ্ছাকৃতভাবে সেইভাবে কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, একটি ক্ষেত্রে উচ্চমান থাকলে অন্যটিও উচ্চমানের হবে সেটি সবসময় ঠিক নয়। তাই আপনার কাজের তালিকা করে তারপর বিশ্বস্থ কর্মীকে আপনার দায়িত্ব কতোটা শক্তিশালী তা জিজ্ঞাসা করুন। যদি কোনও ক্ষেত্রে দুর্বলতা থাকে সেটি উন্নত করার চেষ্টা করুন।
২. স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা করুন
আপনি যদি কোনও বিশেষ এরিয়াতে আপনার মান উন্নত করার চেষ্টা করেন, তাহলে প্রথম কাজ হলো ঐ এরিয়াতে সঠিক মান কেমন হতে পারে। দ্বিতীয় কাজ হলো আপনার নিজের কিংবা টিমের জন্য বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা নির্ধারণ করা। এমন কোনও প্রত্যাশা নির্ধারণ করা উচিত নয় যা অর্জন করার সক্ষমতা নেই।
৩. যাদের সেবা দিচ্ছেন তাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন
আপনি পণ্য কিংবা সেবা যেটিই বিক্রি করেন না কেনো, এটি সবসময় ভালো আইডিয়া যে আপনি যাদের সেবা দিচ্ছেন তাদের সাথে কখনও দূরত্বে না থাকা অর্থাৎ সবসময় সংযুক্ত থাকছেন। যতো উপরেই উঠুন না কেনো এটি মেনে চলা উচিত।
বেজোস জানান তিনি এখনও তার পাবলিক ইনবক্স (jeff@amazon.com) এর মেইলগুলো পড়েন। এর মাধ্যমে তিনি অ্যামাজনের গ্রাহকদের সাথে কী ঘটছে, তারা কী চাইছে এসব নখদর্পনে রাখতে পারেন। তিনি মনে করেন, সফলতার জন্য প্রতিযোগী কোম্পানি কী করছে তা জানার চেয়ে গ্রাহকরা কী বলছে সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রায়ই গ্রাহকদের মতামত ও কোম্পানির ডেটার তুলনা করে দেখেন যে কোথাও ভুল হচ্ছে কীনা।