চলমান করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তবে এই সময়ে যাতে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য সংসদ টেলিভিশনে আজ (রবিবার) থেকে শুরু হয়েছে পাঠদান।
রুটিন অনুযায়ী সকাল ৯টায় ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ও এরপর বিজ্ঞান বিষয় পাঠদান করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির পাঠদান চলবে। কোনো শিক্ষার্থী সকালের দিকে টেলিভিশনের সামনে বসতে না পারলে তাদের জন্য দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ক্লাসগুলো পুনঃপ্রচারের ব্যবস্থা আছে।
এর আগে মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীকে এসব ক্লাস করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। টেলিভিশনের সামনে বসে ক্লাস করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের হোম ওয়ার্ক (বাসার কাজ) করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় পুরো বিশ্ব আজ প্রায় অচল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এ ভয়াবহ করোনাভাইরাস। এর ফলে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রাথমিক থেকে সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষ শ্রেণি শিক্ষকদের ক্লাসের ভিডিও ধারণ করে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাসায় বসেই টিভির মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নিতে পারবে। ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবে এ পাঠদান কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেই ক্লাসগুলোর আবার প্রচারিত হবে। শ্রেণি শিক্ষক ক্লাস শেষে পাঠদানকৃত বিষয়ের ওপরে বাড়ির কাজ প্রদান করবেন। প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য শিক্ষার্থীরা আলাদা খাতায় তারিখ অনুযায়ী বাড়ির কাজ সম্পন্ন করবেন এবং স্কুল খোলার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছে জমা দেবেন। বাড়ির কাজের ওপর প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রতি সপ্তাহের ক্লাস রুটিন মাউশি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।