নিরাপদ ইন্টারনেট : ভূমিকা

আগামীতে এশিয়ার উন্নশীল দেশগুলোর ৫০ কোটিরও বেশি শিশুর হাতের তালুর সমান মোবাইল হ্যান্ডসেটের মত ক্ষুদ্র এক যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সংস্পর্ষে আসবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা তাদের ইচ্ছে অনুসারে জ্ঞান অর্জন করতে, মানুষের সাথে পরিচিত হতে, ভাষা শিখতে ও ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির কাছাকাছি আসতে পারবে। এই সব শিশুরা এমন সব বিষয় শিখবে যা তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু ছোট একটি যন্ত্র কিভাবে তাদের সারাবিশ্বের সাথে সংযুক্ত করবে? আমাদের শিশুরা কি দেখবে বা কি শিখবে? তারা কি ইন্টারেনেটে নিরাপদ থাকতে পারবে? ইন্টারনেট কি তাদের জীবনে কেন পরিবর্তন বয়ে আনতে সক্ষম হবে?

এই নির্দেশিকাটি এশিয়ার সেই সকল কোটি কোটি পরিবারের জন্য, যাদের মনে এসব প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এটি সেই সকল পরিবারের জন্য, যারা মনে করেন যে এক অপার সম্ভাবনাময় পৃথিবী তাদের সন্তারদের জন্য অপেক্ষা করছে।

যারা তাদের চারপাশের পরিবর্তন সম্পর্কে আশাবাদী অথবা দ্বিধান্বিত, এই নির্দেশিকাটি তাদের জন্য। চিকিৎসা শাস্ত্র, শিক্ষা, কৃষি, ব্যাংক, প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া পরিবর্তন যাদের ছুঁয়ে যায়নি কিংবা যারা এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্যও এই নির্দেশিকাটি সহায়ক হবে।

যাদের ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা নেই, যারা ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন অথবা আধুনিক যোগাযোগের মত বিষয়গুলো সম্পর্কে শুধুই শুনেছে, কিন্তু জানেন না কিভাবে এগুলো সম্পর্কে আরো জ্ঞান লাভ করা যায়, বা কিভাবে এগুলো তাদের জীবনে কাজে লাগবে, তারাও নির্দেশিকাটি থেকে উপকৃত হবে।

ইন্টারনেট ও উন্নয়নের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটানোর জন্যই নির্দেশিকাটি প্রকাশিত হলো।

নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং আনন্দময় জ্ঞানার্জনের পথে সবার জন্য রইল শুভ কামনা।

– ইউনিসেফ, গ্রামীণফোন এবং চ্যাম্পসটোয়েন্টিওয়ান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন