মোবাইল ফোনে নিজের নিরাপত্তা

প্রযুক্তির আশীর্বাদের পাশাপাশি এর কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অনেকেই এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি সাধন করছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন ধরণের আক্রমণের শিকার হচ্ছে শিশু, নারী এমনকি পুরুষরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মেসেজিং অ্যাপস, মোবাইলের মাধ্যমেও এসব ঘটনা ঘটছে। চলুন জেনে নিই কিভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটা বুলিংয়ের শিকার থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

১. আপনি যদি বুলিংয়ের শিকার হন সেটা আপনার দোষ নয় এবং অন্যের সাথে সেটি শেয়ার করার মধ্যে কোনো দোষ নেই। তাই বিষয়টি দ্রুতই অভিভাবক কিংবা বিশ্বস্ত শিক্ষকের সাথে আলোচনা করুন।

২. মোবাইলে কেউ কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দিলে সেটির উত্তর দিবেন না।

৩. অপরিচিত কারো মেসেজের উত্তর দিবেন না।

৪. কাউকে মেসেজ দিলে সেটি মুছে ফেলবেন না, যাতে প্রয়োজনে পরে সেটি বিশ্বস্ত কাউকে দেখাতে পারেন। এছাড়া কারো মেসেজ বা কল পেলে সেটিও নোট করে রাখুন।

৫. প্রাইভেট বা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল ধরা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে কলার আইডি প্রদর্শন করে এমন অ্যাপস ব্যবহার করুন, যাতে অপরিচিত যে কল দিচ্ছে তার পরিচয় জানতে পারেন।

৬. যারা খারাপ মেসেজ পাঠায় তাদের নাম্বার ব্লক করে রাখুন।

৭. যদি ধারাবাহিকভাবে বুলিংয়ের শিকার হন তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বারটি পাল্টিয়ে ফেলুন।

৮. অপরিচিত কাউকে আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৯. অপরিচিত কাউকে এবং গ্রুপে ছবি পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।

১০. যদি বিষয়টি খুব খারাপ পর্যায়ে চলে যায় তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেমন পুলিশ, সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাকে অবহিত করুন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন